সফলতার গল্প ১৭

পর পর দুবার মিসক্যারেজ হবার পর এক দম্পতি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা নিয়ে চার বছর আগে আমার চেম্বারে আসেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর SLE (Systemic Lupus Erythematosus) নামক রোগ সনাক্ত হয় যা বার বার মিসক্যারেজ হবার জন্য দায়ী। এছাড়া জরায়ুতে একটা ফাইব্রয়েডও ধরা পড়ে। ওভুলেশন ইনডাকশন দেয়ার পর কনসিভ করেন। মিসক্যারেজ রোধ করার জন্য সব ধরণের ঔষধ ও ইনজেকশন দেয়া হলো। আল্লাহর রহমতে সিজারিয়ান সেকশনের সময় কোন প্রকার অতিরিক্ত রক্তপাত ছাড়াই জরায়ুর টিউমারও ফেলে দেয়া হলো।
এই বাবুটা তার দ্বিতীয় বাচ্চা। এবার কিন্তু কোন ফার্টিলিটি ট্রাটমেন্ট ছাড়াই কনসিভ করলেন। এবারও যাতে মিসক্যারেজ না হয় সেজন্য সব ধরণের ব্যবস্থা প্রথম থেকেই নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ডায়াবেটিস ও রক্তশূন্যতা কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি করেছিলো যা ট্রীটমেন্ট এর মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিলো। অবশেষে ৩৭ + সপ্তাহে হঠাৎ পানি ভেঙে গেলে ইমারজেন্সী সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে এই বাবুটির ধরণীতে আগমন ঘটে। আলহামদুলিল্লাহ। সব কিছুর জন্য বিশেষ করে পর পর দুটো বাচ্চা সুস্থভাবে জন্মলাভের জন্য পরম করুণাময়ের কাছে জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা। আল্লাহপাক মা ও দুটো শিশুকেই সুস্থ রাখুন, এই দোয়া করি, আমীন।
ডাঃ শিরিন জাহান
বন্ধ্যাত্ব, প্রসূতি, গাইনী ও প্রজনন হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *