সফলতার গল্প ৭

এ বছরের শুরুতে বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় আক্রান্ত এক দম্পতি আমার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমন্ডির চেম্বারে আসেন। স্ত্রীর বয়স ছিলো ৩৬ বছর। ইতিহাস নিয়ে জানতে পারলাম, ওনাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে ছিলো, দুজনের জন্মই হয় সিজারিয়ান ডেলিভারীর মাধ্যমে। দুই বছর আগে এক এক্সিডেন্টে তাদের আঠারো বছরের ছেলে সন্তান পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে তারা এক বছর যাবৎ আবার সন্তানধারনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু কনসিভ করতে পারছিলেন না।
স্বামী-স্ত্রী দুজনের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আমরা কনসিভ করার ঔষধ শুরু করি। প্রথম মাসেই স্ত্রী কনসিভ করতে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পরে কিন্তু তা কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব হয় মেডিসিনের মাধ্যমে।
অবশেষে ৩৮+ সপ্তাহে সিজারিয়ান ডেলিভারীর মাধ্যমে এই দম্পতির এই ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম হয় কিছুদিন আগে, আলহামদুলিল্লাহ। বাবা-মা যেনো তাদের হারানো ছেলেকেই ফিরে পেলো…….ভীষণ খুশি বাবা- মা, সাথে আমরাও।
ডাঃ শিরিন জাহান
বন্ধ্যাত্ব, প্রসূতি, গাইনী ও প্রজনন হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *