
মায়ের নাম নিশা, থাকেন উত্তরায়। প্রেগন্যান্সির আগে থেকেই আমার ট্রীটমেন্টে ছিলেন। হাজবেন্ডের কর্মক্ষেত্র চেন্জ হলে উত্তরায় চলে যান। পুরো প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডেই সুদূর উত্তরা থেকে দুই- তিন ঘণ্টা জার্নি করে চেক আপের জন্য আমার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমন্ডির চেম্বারে আসতেন। এর মধ্যে স্বামীর এক্সিডেন্টে পায়ে fracture হয়। তারপরও দায়িত্ববান স্বামী কষ্ট করে হলেও নিয়মিত প্রেগন্যান্ট স্ত্রীকে নিয়ে আসতেন। স্বামীর ভাষ্যমতে, “ নিশা আপনাকে এতো পছন্দ করে, আপনার উপর এতো নির্ভর করতে পারে যে, প্রেগন্যান্সির শেষের দিকে বেশ কষ্ট হলেও উত্তরা থেকে ধানমন্ডিতে এসেই সে আপনাকে দেখাবে, আমি অন্য কোথাও ওকে নিতে পারিনি”। আলহামদুলিল্লাহ, এভাবেই রোগীদের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
নিশার প্রেগন্যান্সিতে ডায়াবেটিস ধরা পরে যা খুব সুন্দরভাবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করি। ৩৯ সপ্তাহ ৪ দিনের মাথায় ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে আমরা লেবার প্রোগ্রেস করার জন্য ঔষধ দেই এবং পরিশেষে নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে তিন কেজি ওজনের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। আলহামদুলিল্লাহ। নিশার পরিবার যেমন আনন্দিত, তেমনি আনন্দিত আমরাও🥰।