সফলতার গল্প ১৩

আই ইউ আই (IUI) এর সফলতার গল্পঃ
আই ইউ আই করে আমাদের অনেক রোগী বাবা-মা হবার সৌভাগ্য লাভ করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ব্যস্ততার কারণে সবার গল্পগুলো লেখা হয়ে ওঠে না। আজ এক রোগীর আই ইউ আই করে মা হবার সফলতার কাহিনী লিখছি…..
গত বছর মে মাসের শেষের দিকে দোহারের একজন গাইনীকোলজিস্ট এই রোগীকে আমার কাছে রেফার করেন। তার বয়স মাত্র ২২ বছর। স্বামী সিঙ্গাপুরে থাকেন। বিয়ের পর থেকে তারা ছয় বছর যাবত বাচ্চার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। দেড় মাস পর স্বামী বিদেশ থেকে আসবেন। আমরা স্ত্রীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করি। থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা ধরা পরলো, কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা ধরা পরলো ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ অনেক কম (AMH-0.9)। আমরা ডিম্বাণুর গুণগতমান বাড়ানোর জন্য কিছু মেডিসিন দেই। স্বামী দেশে আসলে কাউন্সেলিং এর পর এই দম্পতি আই ইউ আই করতে সম্মত হন। প্রথমবার আই ইউ আই করা হলো, কিন্ত প্রেগন্যান্সি হলো না। দ্বিতীয়বার আবার আই ইউ আই করলাম। এবার সৃষ্টিকর্তা নিরাশ করলেন না। রোগী মাসিকের তারিখ ছয়দিন পার হলে বাসায় প্রেগন্যান্সি টেষ্ট করে খুশি হয়ে সেন্টারের সবার জন্য মিষ্টি নিয়ে আসলেন। আমরা Seum beta HCG টেষ্ট করলাম-১২,২০০ আই ইউ আসলো, আলহামদুলিল্লাহ। নয় মাস এই মা দোহারের একজন গাইনোকলজিস্ট এবং আমার তত্বাবধানে ছিলেন। স্বামীর ইচ্ছা ছিলো আমাকে দিয়েই সিজার করানো। অবশেষে আজ এই পুত্রসন্তানের বাবা-মা হলেন এই দম্পতি। মা ও বাচ্চার জন্য রইলো অনেক দোয়া আর আশীর্বাদ।
ডাঃ শিরিন জাহান
বন্ধ্যাত্ব, প্রসূতি, গাইনী ও প্রজনন হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *