
চকোলেট সিস্ট নিয়ে প্রেগন্যান্সিঃ
এক ডাক্তার দম্পতি আড়াই বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছিল সন্তানের জন্য। বেশ কয়েকবার ওভুলেশন ইনডাকশনের মেডিসিন ও নেয়া হয়েছিলো এর আগে। মেয়েটির বাম ওভারীতে একটি চকলেট সিস্ট ছিলো। পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর দেখা গেলো -AMH হলো মাত্র ১.৩৪। কিছুদিন Endometriosis এর চিকিৎসা চললো। তারপর শুরু করলাম ওভুলেশন ইনডাকশন। TVS এ একটি ওভারি জরায়ুর পেছনে দেখা গেলো। প্রথম দুই মাসিক চক্রে ওভুলেশন হলেও প্রেগন্যান্সি হলো না। আমার ও ডাক্তার দম্পতির কিছুটা মন খারাপ হলো। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম আর একবার ইনডাকশনে প্রেগন্যান্সি না হলে আই ইউ আই করবো পরের মাসে। কিন্ত আই ইউ আই করার আর প্রয়োজন হলো না, তৃতীয় বারেই প্রেগন্যান্সি হলো। আলহামদুলিল্লাহ।
প্রেগন্যান্সিতে ১৭ সপ্তাহে দেখা গেলো আরেক বিপদ সংকেত-Central placenta praevia, সাথে ডায়াবেটিস ও রক্তশূন্যতা। সবকিছু কারেকশন করে ৩৮+ সপ্তাহে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে ও বিসমিল্লাহ বলে আজ সকালে শুরু করলাম সিজারিয়ান সেকশন।
যতোটা ব্লিডিং হবে মনে করেছিলাম, ততোটা হয়নি। আল্লাহপাক বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। অনেক চড়াই উতরাই পার করে ফুটফুটে এই শিশুটির জন্ম দিলো এই ডাক্তার মা। মা হিসেবে জীবনে সফলতার মুখ দেখলো, আলহামদুলিল্লাহ।
মা ও বাচ্চাকে আল্লাহপাক সুস্থ রাখুন এই দোয়া করি।
ডাঃ শিরিন জাহান
বন্ধ্যাত্ব, প্রসূতি, গাইনী ও প্রজনন হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট