
দীর্ঘ ১২ বছর অপেক্ষার পর মাতৃত্ব ও পিতৃত্ব লাভ করেন এক দম্পতি—————
২০২২ সালে আমার খুব কাছের একজন মানুষের রেফারেন্সে ওনারা আমার কাছে আসেন। এর আগে পর পর তিন বার মিসক্যারেজ হবার ইতিহাস ছিলো। এরপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও কনসিভ করতে পারছিলেন না।
সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর থাইরয়েডের সমস্যা ধরা পরলো, Anti TPO Ab ও পজিটিভ ছিলো। এরপর শুরু করলাম ওভুলেশন ইনডাকশন, সেইসাথে টিভিএস মনিটরিং। প্রতিবারই ডিম্বানু বড় হলো কিন্তু প্রেগন্যান্সি হলো না। এভাবে ছয় মাস চেষ্টা করার পর ল্যাপারোস্কপি ও হিস্টেরোস্কপি করি।ল্যাপারোস্কপিতে বেশ কিছু সমস্যা পাওয়া গেলো এবং যতটা সম্ভব কারেকশন করে দেয়া হলো।
দুটো টিউবই খোলা ছিলো। এরপর আবার শুরু হলো ওভুলেশন ইনডাকশন। কয়েক মাস পর অবশেষে প্রেগন্যান্সি হলো। আলহামদুলিল্লাহ। এবার যেনো আগেরবারের মতো মিসক্যারেজ না হয় সেজন্য সব ধরণের চিকিৎসা চালালাম। বড় ধরণের কোন সমস্যা হলো না এ প্রেগন্যান্সিতে। অবশেষে গত মাসে সিজারিয়ান ডেলিভারীর মাধ্যমে এই ফুটফুটে শিশুটির পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটলো, আলহামদুলিল্লাহ। বাবা-মায়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো।
বাবা-মায়ের ইচ্ছে, আমি যেনো আমার নামের সাথে মিলিয়ে বাবুটির নাম রেখে দেই। সময়ের অভাবে আমি নাম খুঁজতে না পারায় ওনাদেরকেই নাম রাখতে বলি। বাবুটির নাম রাখলেন ‘শেখ বায়েজিদ’ আর ডাক নাম রাখলেন আমার নামের সাথে মিল রেখে-‘জাহান’যার মানে ‘পৃথিবী’। আসলেই তাই-এই বাবা-মায়ের পুরো পৃথিবী জুড়েই এখন তাদের কোল আলো করা এই সন্তান। গত সপ্তাহে ১ মাস বয়সী শেখ বায়েজীদ জাহান আর তার মাকে সাথে নিয়ে এই ছবিটি তোলা হয়। সবার জন্য রইলো অনেক অনেক দোয়া।
ডাঃ শিরিন জাহান
বন্ধ্যাত্ব, প্রসূতি, গাইনী ও প্রজনন হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট